বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:২৯ অপরাহ্ন

রংপুরে ৫ বিদ্রোহী প্রার্থী বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র পাঁচ প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে উপজেলা আওয়ামী লীগ তাদের বহিষ্কার করেছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন- কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহফুজার রহমান বসুনিয়া, আইন বিষয়ক সম্পাদক সরকার আবু ফেরদৌস মো. মহসীন হীরা, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইউসুফ আলী, রংপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মো. আব্দুল মজিদ ও টেপামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাতে কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম মায়া ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে হারাগাছ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মাহফুজার রহমান বসুনিয়া ও ইউসুফ আলী, কুর্শা ইউনিয়নে আব্দুল মজিদ, বালাপাড়া ইউনিয়নে সরকার আবু ফেরদৌস মো. মহাসিন হীরা এবং রাশেদুল ইসলাম টেপামধুপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান জানান, দল বিচার-বিবেচনা করে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আমাদের কোনো হাত নেই। এটি দলের মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত। কিন্তু বেশ কয়েকজন দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। সোমবার বিকেলে বর্ধিত সভায় দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠিও তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

দলের স্বার্থে বিদ্রোহী কাউকে ছাড় না দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী যদি নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষ নিয়ে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চাই দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সবাই এক হয়ে কাজ করুক।

এদিকে হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সদ্য বহিষ্কৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজার রহমান বসুনিয়া বলেন, দল আমাকে বহিষ্কার করেছে। এটা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। ২০১৬ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ষড়যন্ত্রের কারণে পরাজিত হয়েছি। এখনো সেই একই ষড়যন্ত্র চলছে। হেরে গিয়েও মাঠ ছেড়ে দেইনি।

তিনি আরও বলেন, দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি মাঠ গোছানো, প্রচার-প্রচারণাসহ সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। অথচ উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে ইয়াসিন আলী বাবু নামে একজনকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। ওই প্রার্থীর নামে মাদরাসার জমি আত্মসাৎ, নিয়োগ বাণিজ্য ও অসহায় মানুষদের সরকারি সহায়তা নিয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে দেশের ১ হাজার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে দেশের ১০টি পৌরসভায়ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com